ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি সীমান্তবর্তী গ্রামের নারী ও শিশুদের ওপরে বিএসএফ সদস্যরা লাঠিচার্জ করেছেন, এই অভিযোগের সরেজমিন তদন্তে শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) একটি মানবাধিকার সংগঠন সেখানে গিয়েছিল।
মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর জানিয়েছে, মলুয়াপাড়া নামের ওই গ্রামটির মানুষ বেশ কিছুদিন ধরেই নতুন করে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার বিরোধিতা করছিলেন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিএসএফ যন্ত্রপাতি নিয়ে এসে বেড়ার কাজ শুরু করলে বিক্ষোভ করেন দুইশো নারী ও শিশু। গ্রামবাসীদের অভিযোগ ওই বিক্ষোভের ওপরেই লাঠি চালায় বিএসএফের পুরুষ সদস্যরা।
ওই ঘটনায় জখম হয়েছেন গ্রামের ১১ জন নারী। বিএসএফ অবশ্য গ্রামবাসীদের তোলা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, সেদিন কোনো লাঠিচার্জই হয়নি। গ্রামবাসীরা সরকারি যন্ত্রপাতি ভাঙ্গতে উদ্যত হলে তারা লাঠি উঁচিয়ে তাদের সরিয়ে দিয়েছে মাত্র।
মলুয়াপাড়ার বাসিন্দা জরিনা বিশ্বাস টেলিফোনে বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, ‘গত আট তারিখ ছিল হাটবার, তাই পুরুষরা কেউ বাড়ি ছিল না। সেই সুযোগে বিকেল তিনটের দিকে রাস্তার রোলারসহ যন্ত্রপাতি নিয়ে এসে তারকাটার বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে বিএসএফ। আমরা যখন বাধা দিতে যাই, আমাকেই প্রথমে লাঠি দিয়ে মারে তারা। বিএসএফের কোনও নারী কনস্টেবল ছিল না, সবাই পুরুষ মানুষ।’
ব্যানার্জী প্রশ্ন তোলেন, ‘কী ছিল তার অপরাধ, সে রাজবংশী? সকাল ৭টায় মাঠে তার কাছ থেকে বোমা বা বন্দুক পাওয়া গিয়েছিল, নাকি যুদ্ধ করতে গিয়েছিল সে, গরু পাচার করছিল নাকি সোনা মিলেছিল? বিএসএফ এর নিয়ন্ত্রণ হাতে থাকা অমিত শাহ, কোচবিহারের লজ্জা নিশীথ প্রামাণিককে প্রশ্ন করছি। ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে ৪৮ ঘণ্টা সময় দিলাম, অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে।’
বিএসএফের গুলিতে নিহত বর্মনের ময়না তদন্তের রিপোর্টও জনসভায় দেখান ব্যানার্জী। সেই রিপোর্ট উদ্ধৃত করে তিনি জানান, ১৮০ টা গুলির টুকরো পাওয়া গেছে ওই যুবকের দেহে। যে ছররা বন্দুক ভারত শাসিত কাশ্মীরে চালানো হয়, সেই গুলি চালানো হয়েছিল প্রেমকুমার বর্মনের পায়ে।