বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হলেন আবুল খায়ের আবদুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত)। ১২৬টি ভোটকেন্দ্রের ভোট গণনা শেষে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সৈয়দ ফয়জুল করিমকে ৫৩ হাজার ৪০৭ ভোটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের নতুন মেয়র হলেন তিনি।
নির্বাচনে আবুল খায়ের আবদুল্লাহ পেয়েছেন ৮৭ হাজার ৭৫২ ভোট। আর, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সৈয়দ ফয়জুল করিম পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৩৪৫ ভোট। এর আগে, সোমবার (১২ জুন) সকাল ৮টা থেকে ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এবার মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৭ জন মেয়র প্রার্থী।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সমন্বিত টহল দিয়েছে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি। সকাল থেকেই নগরীর ওয়ার্ডগুলোতে টহল দিতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সদস্যদের।
এদিন সকাল থেকেই বরিশালে ভোটের পরিবেশ ছিলো শান্তিপূর্ণ; তবে দুপুর হতেই বদলে যায় পরিস্থিতি। পুলিশের কাছে হামলার অভিযোগ করেন হাতপাখা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ফয়জুল করীম। এ নিয়ে কিছুটা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। হামলার প্রতিবাদে বরিশাল ও খুলনা সিটিতে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে ইসলামী আন্দোলন। এছাড়া, ইভিএমের ধীরগতি নিয়েও মিশ্র প্রতিক্রিয়া ছিলো ভোটারদের মাঝে।
সিইসি বলেন, আক্রমণের বিষয়টি জানার সাথে সাথে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ভোট বাধাগ্রস্ত হয়নি। বিচ্ছিন্ন দু-চারটি ঘটনা ছাড়া সার্বিক অর্থে সুন্দর ও সুচারুভাবে নির্বাচন হয়েছে। কমিশন সন্তুষ্ট।